ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি একই রকম নাও থাকতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন এবং মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কূটনীতিকরা উত্তর রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পরীক্ষমূলক ও স্বল্প পরিসরে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার। এ লক্ষ্যে আজ (৪ সেপ্টেম্বর) নেপিদোয় একটি বৈঠক হবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও তাদের পক্ষে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে চলমান সংকটের টেকসই সমাধানের ওপর জোর দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের আদি দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) থেকে আরো সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন
ন্যাম সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশু ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের মধ্যস্থতায় আকস্মিকভাবে তৃতীয় দফার একটি উদ্যোগ দৃশ্যত শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগ নিয়ে কোন হাকডাক নেই। আলোচনা চলছে অনেকটা নীরবে এবং সংবাদমাধ্যমের আড়ালে।